ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরে টানা সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
এদিকে, ঝারখন্ড রাজ্যের গারহাওয়া শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি এক করোনা আক্রান্ত তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালে হাসপাতালের একটি লোহার গেটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ২০ বছর বয়সী নিরাজ উপাধ্যায় নামের ওই তরুণ।
গত ১৪ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তাকে প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হচ্ছিল।
ওই হাসপাতালের অন্যান্য করোনা রোগীরা জানিয়েছেন, রোববার রাত থেকেই তার আচার-আচরণে পরিবর্তন দেখা গেছে। তিনি অকারণেই চিৎকার করছিলেন। এছাড়া তার কাঁশি বেড়ে গিয়েছিল। ক্রমাগত সে হাঁটাহাটি করছিল। তাকে বেশ অস্থির মনে হচ্ছিল।
রাতে খাওয়ার পর হঠাৎ করেই তার যেন কি হয়েছিল। সে কোনো কারণ ছাড়াই চিৎকার, চেচামেচি করছিল আর তাকে অক্সিজেন দিতে বলছিল।
বেশ কয়েকজন রোগী জানান, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা তাকে একটি লোহার গেটে ঝুলে থাকতে দেখেন।
সিভিল সার্জন ডা. দিনেস কুমার জানান, গত ১৪ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সে হয়তো বিষন্নতায় ভুগছিল।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, একটি লোহার গেটে একটি গামছার সঙ্গে ঝুলে থাকা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।