ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। দেশে বিতরণ করা মোট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।
অর্থাৎ খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই, যা মোট ঋণের আট দশমিক ১৭ শতাংশ। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৭০১ কোটি টাকা বেড়েছে।
অন্যদিকে খেলাপি ঋণ কমাতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোরও পরামর্শ তাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, গত জুন শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা যা মার্চ শেষে ছিল ৯৪ হাজার ২৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। হিসাব বলছে, তিন মাসে খেলাপি বেড়েছে ৩ হাজার ৮৯৯ কোটি ১২ লাখ টাকা।
গত জুন শেষে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং গত মার্চে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খেলাপির হার বেড়েছে ০.১৩ শতাংশ। আর ২০২০ সালের জুনে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯.১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো না, আবার খেলাপিদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার ফলে খেলাপি বাড়ছে। আবার সুবিধা দেওয়ার পর আবার কমিয়ে দেওয়ায়ও খেলাপি বাড়ার কারণ হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘খেলাপি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আরও তৎপর হতে হবে। একই সঙ্গে ঋণ আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংক খাতকে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।’