শীতে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। নারী-পুরুষ সবাই এই সমস্যায় ভোগেন। অনেকে অ্যান্টি-ডানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। তবুও খুশকি দূর হয় না, মাথার ত্বক চুলকায় এবং চুলও রুক্ষ হয়ে যায়। খুশকি হলো এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। খুশকি দূর করতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের সাহায্য নিতে হবে। আর অ্যালোভেরা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যেখানে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে।
খুশকি কেন হয়?
যত্নের অভাব, বাতাসে শুষ্কতা ও নানাবিধ কারণে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্ক স্ক্যাল্পে ছত্রাক বাসা বাঁধে। আর তা থেকেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে, স্ক্যাল্পেও সেবাসিয়াস গ্রন্থি রয়েছে, যা সেবাম উৎপন্ন করে। সেবাম স্ক্যাল্প ও চুলকে সুরক্ষা প্রদান করে। সেবামের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেলে সেখান থেকেও স্ক্যাল্পে ছত্রাক জমা হয়। এতেও খুশকি বাড়ে। চুলকানি হয়। অতিরিক্ত তেল, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে পারে অ্যালোভেরা।
অ্যালোভেরা জেলের কাজ
অ্যালোভেরা জেল স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তেল উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদনকেও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে খুশকি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এছাড়াও অ্যালোভেরায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা স্ক্যাল্পের চুলকানি কমায়। অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে।
যেভাবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করবেন
- ২ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগান। ১-২ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
- অ্যালোভেরা জেলের মতো লেবুর রস খুশকি তাড়াতে সাহায্য করে। ১/২ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০-৪০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলুন।
- ১ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চামচ মধু ও ২ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
- ২ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ৬-৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। টি ট্রি অয়েলও খুশকি তাড়াতে ভীষণ উপকারী।