যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হলো পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু। এরপরই পায়ে হেঁটে এবং গাড়িতে সেতুটি পারাপার হচ্ছেন উৎসুক জনতা।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দৃষ্টি নন্দন এ সেতু দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পারলে একটু হেঁটে দেখতে পারলে ভালো লাগতো। যেহেতু করোনার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না, তবে আশা আছে।
প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে তার সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন উন্নয়ন এবং সম্ভাবনার বিষয় তুলে ধরেন।
২০১৬ সালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতুর শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে। সেতুতে বেশকিছু নিরাপত্তা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। বজ্রপাত-ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুর কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটিও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’-এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। এক হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি ক্যাবল দিয়ে দুপাশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ব্রিজের আদলে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় ব্রিজ যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ব্রিজের নির্মাণ হয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।