খবর বিজ্ঞপ্তিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা এর ৭৫ তম জন্মদিন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খানের নেতৃত্বে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, নীল দল, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও পৃথক পৃথক ভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ আবু নাসেরসহ ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যসহ অন্যান্য শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদসহ বিভিন্ন আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১২টায় খুকৃবি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা এর জীবনীর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান। প্রধান অতিথি তার জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাঙ্গালী জাতিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রজ্ঞায়, শক্তি-সাহসে পূর্ণাঙ্গ জাতি হিসেবে বিশে^র দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার। এরই প্রয়াসে নিজের আরাম-আয়েশ, সুযোগ-সুবিধার কথা না ভেবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন দেশ ও জাতির কল্যাণে। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন অগ্রজ এবং নিপীড়িত মানুষের মুক্তির প্রথপ্রদর্শক। সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল কৃষি ও শিল্পের বিপ্লব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচনে সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল এ দেশীয় কুলাঙ্গাররা, পথভ্রষ্ট বিশ্বাসঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর এক মুজিব থেকে বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম হয়েছে কোটি কোটি মুজিবের যারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় অঙ্গীকার বদ্ধ। দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ হিসেবে বিনির্মাণকল্পে দেশরতœ জননেত্রী উন্নয়নের ধারক ও বাহক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০২১ এ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র, ২০৩০ এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, ২০৪১ এর মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিবর্তনের অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে ডেল্টা প্লান ২১০০ প্রণয়ন করেন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারীর সময়েও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধরে রেখেছেন।
মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর আরও উল্লেখ করেন যে, স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তীর ও জাতির পিতার জন্ম শতবাষির্কীতে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের চলমান উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই মাহেন্দ্রক্ষণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার উদাত্ত আহবান জানান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন খুকৃবি শিক্ষক সমিতির আহবায়ক এবং এনিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ তসলিম হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সভাপতি এবং মাইক্রো বায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ্ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আশিকুল আলম, নীল দলের সাধারণ সম্পাদক এবং ফার্ম স্ট্রাকচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ডাঃ সবুজ কান্তি নাথ, ডাঃ স্বরূপ কুমার কুন্ডু, নাজমুল হক, সঞ্জীব কুমার বর্মণ, শিক্ষার্থী মাহিরুল হক শিলং, পিয়াল রায়, কর্মকর্তা মোঃ শফিউর রহমান খান, মোঃ শরিফুল ইসলাম ও ফোরকান আহমেদ রনি এবং কর্মচারী উজ্জল কুমার দাশ, জাকির হোসেন, দীপ লাল পান্ডে প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব এবং ফিজিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এম এ হান্নান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান সীন ও গীতা পাঠ করেন প্রভাষক ডাঃ বিদ্যুৎ মাতুব্বর। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করা হয়। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a comment