এক সময়ে শীতকালে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠার ঘ্রাণে চারিদিক মুখিয়ে থাকতো। নাগরিক কোলাহলের মাঝে পিঠা বাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। পৌঁষের শেষে পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে খুলনায় শুরু হয়েছে পিঠা ও বস্ত্রমেলা। পিঠা মেলায় শোভা পাচ্ছে শত শত পিঠার বাহার।
রোববার (৯ জানুয়ারি) বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবের অায়োজনে এ পিঠা ও বস্ত্রমেলার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার অাব্দুল খালেক। খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা।
পিঠা মেলা ঘুরে দেখা যায়, শীতকে উপেক্ষা করে রকমারি পিঠার আয়োজন দেখতে রসমেলায় শত শত মানুষের ভীড়। কেউ খাচ্ছেন, আবার কেউ ঘুরে দেখছেন পিঠার বাহার। লোকে লোকারন্ন হয়ে জমে উঠেছে রসমেলা। ভিন্নধর্মী এ উৎসবে স্থান পেয়েছে ৪০টি স্টল। ঐতিহ্যবাহী এ পিঠা ও বস্ত্রমেলার প্রথম দিনে উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেলাপ্রাঙ্গনে শোভা পাচ্ছে রসের পিঠা, নকশি পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, বউ পিঠা, জামাই পিঠা, সেমাই পিঠা, পান পিঠা, ঝিনুক পিঠা, বকুল পিঠা, কাতাইফ পিঠা, পাতা পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মাছ ছানা, ভাপা পিঠা, মালপোয়া, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, কুশলী পিঠা, ঝিনুক পিঠা, ডিম পাকন, খোলা চিতই, দুধ চিতই, রস চিতই, ডিম চিতই, সিদ্ধ কুলি পিঠা, ভাজা কুলি, ঝাল কুলি, তিলের পুলি, দুধপুলি, ক্ষীরে ভরা পাটি সাপটা, নোনতা পাটিসাপটা, বিস্কুট পিঠা, গাজর কপি পাটিসাপটা, পাকন পিঠা, সুন্দরী পাকন, গোলাপফুল পিঠা, মেরা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, কলার পিঠা, ইলিশ পিঠা, আনারস পিঠা, আমিত্তি, কাস্তুরি, চাপাতি পিঠা, ফুলঝুরি, বাদাম-নারকেল ঝালপিঠা, মুগ ডালের নকশি পিঠা, ফুলন দলা, চিড়ার মোয়া,মুড়ির মোয়া, তিলের নাড়ু, নারকেলের নশকরা, খই এর মুড়কি, লাল পুয়া পিঠা, নমুরালিসহ আরো কয়েকশ পিঠা।
রসমেলায় ঘুরতে আসা প্রতিদিন সেবক ডট কমের প্রকাশক অালী অাবরার বলেন, ছোট বেলায় শীতকালে বাড়িতে পিঠা তৈরি হতো। এখন আর আগের মতো সেসব আয়োজন হয়না। এখানে এসে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। কত বছর পরে নতুন নতুন পিঠা খেলাম বলতে পারবোনা। সবমিলে এ যেনো এক অতীতে ফিরে যাবার আবহ।
উল্লেখ্য, এ পিঠা উৎসবে স্থান পেয়েছে কয়েকশ পিঠা। মেলায় আগতরা হরেক পিঠার স্বাদে যেনো বাল্যবেলায় ফিরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মেলা চলবে।
পিএসএন/এমঅাই