খুলনার রূপসা উপজেলার ৪নং টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়নের নারী সদস্য নাজমা বেগমের নেতৃত্বে ওই এলাকার তিলক মৌজায় একটি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধনে ওই নারী ইউপি সদস্যসহ ৮/৯জন ভুমিদস্যু ওই জমিটি দখল রেখেছেন। ওই এলাকার কিছু মাদকসেবী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে ভুক্তভোগি জমির প্রকৃত মালিককে ভয়ভীতি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এসকল বিষয়ে জমির মালিক পক্ষ থেকে খুলনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ১৩জুন দাখিল করা অভিযোগের নং-১১৬৯।
জমির মালিক পক্ষে মোঃ আবুল কালাম ওই লিখিত অভিযোগে বলেন, রূপসা উপজেলার ৪নং টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়নের তিলক মৌজায় আরএস ৫৫১১ ও ৫১১৪ নং দাগের ১৬০শতক জমি প্রকৃত মালিক মোঃ নুর ইসলামের নিকট থেকে রেজিস্ট্রি বায়না গ্রহন করা হয়। এরপর ওই জমিতে থাকা ভাড়াটিয়া (মৌখিক চুক্তিতে বসবাসরত) মোঃ বাবুলের স্ত্রী ইউপি সদস্য নাজমা বেগম (৪২)সহ সকলকে জমি খালি করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এতে করে নাজমাসহ তার সহযোগি দখলদার তোতা মিয়ার ছেলে মোঃ আসলাম, মোঃ আকরাম ও মোঃ রবি, মোঃ আফসারের ছেলে মোঃ গোলাম ও মোঃ কামরুল, আছিরউদ্দিনের ছেলে মোঃ মিজান ও গোলাম, এবং নুর ইসলাম খলিফা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। প্রকৃত জমির মালিকদের সেখানে যাওয়া-আসা, অবস্থানে বাঁধা ও ভয়ভীতি দেন। অসহায় ওই জমির মালিকপক্ষ নিরুপায় হয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগে তদন্তপূর্বক আইনগত সহায়তা চেয়েছেন।
ইউপি সদস্য নাজমা বেগম কিছু জমি লিখে দেয়ার কথা রয়েছে। ওই জমি লিখে দিলেই কোন ঝামেলা থাকবেনা। তাদেরকে বাধ্য করে জমি লিখে নেয়া হবে বলেও গণমাধ্যমের সামনে হুঙ্কার দেন তিনি। পরে অবশ্য তিনি বিষয়টি সমাধান করে নেবেন বলে জানান।
এবিষয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা চঞ্চল মিত্র বলেন, যারা ওই জমিতে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছে তাদেরকে থাকার জন্য কিছু জমি দিলে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব। এই প্রতিশ্র“তি ওই জমির প্রকৃত মালিক মোঃ নুর ইসলাম নিজেই দিয়েছিলেন।
এবিষয়ে রূপসা থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখনও পর্যন্ত অভিযোগের কপি পাইনি। থানায় ওই অভিযোগের কপি এলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।