খুলনার ৮টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা কমিটি। উপজেলাগুলো হলো কয়রা উপজেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি, দাকোপ উপজেলা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ডুমুরিয়া ১৯ ফেব্রুয়ারি, বটিয়াঘাটা ২০ ফেব্রুয়ারি, ফুলতলা ২৩ ফেব্রুয়ারি, দিঘলিয়া ২৬ ফেব্রুয়ারি, রুপসা ২৭ ফেব্রুয়ারি ও তেরখাদা উপজেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি ।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় (মুলতবি সভা) এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। দলের জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য স্ব-স্ব উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি, আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বি এম এ ছালাম, মোস্তফা কামাল খোকন, এ্যাড. অধ্যাঃ নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, ইঞ্জিঃ প্রেম কুমার মন্ডল, খালেদীন রশীদী সুকর্ণ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তারিক হাসান মিন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শাহ আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান বাবলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মো. শেখ শহীদ উল্লাহ্, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম, সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, শেখ মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম খান, শেখ আকরাম হোসেন, শেখ আবুল হোসেন, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, জিএম মহসিন রেজা, শেখ শহিদুল ইসলাম, গাজী এজাজ আহম্মেদ, অধ্যক্ষ ফ ম ছালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বিলকিস আক্তার ধারা, ফারহানা হালিম, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, ফারজানা নিশি, আনিসুর রহমান মুক্ত, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান, এফ এম অহিদুজ্জামান, মোল্যা আকরাম হোসেন, কে এম আলমগীর হোসেন, সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, বিনয় কৃষ্ণ রায়, দিলিপ হালদার, শেখ কামরুল হাসান টিপু, শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়ারদার, মৃনাল হাজরা, নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রিসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভার জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিকুর রহমান রিপন এর লিখিত জবাব সন্তোষ জনক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রত্যাহার পূর্বক তাকে স্বপদে বহাল থেকে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
একই সাথে দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে, নেতৃবৃন্দদের দলীয় সকল সিদ্ধান্ত মেনে সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়; অন্যথায় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, অপপ্রচার করাই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের মূল সম্পদ। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়না বরং দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা স্বপ্নের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্নোফুলি ঠ্যানেলসহ বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। এটাই এখন তাদের রাজনীতির মূল সম্পদ।