সারাদেশের মতো খুলনার বাজারগুলোতেও নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। চলতি সপ্তাহেও সবজি ও মাছের দামে কোনো স্বস্তির খবর নেই।
নিম্ন আয়ের লোকজন যে হিসাব করে বাজারে আসছেন কেনাকাটা করতে গিয়ে সেই হিসাব আর মিলছে না। তাই যা না কিনলেই নয়, কেবল তাই কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) নগরীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুলনার বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৮০০ টাকা কেজিতে। জাটকা সাইজের ইলিশ ৫০০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রামের মাছ ৮০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৮০০ টাকা আর এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। ওজন আরও বাড়লে দামও বাড়ছে।
এদিকে, ইলিশের দাম নাগালে না থাকায় অন্য মাছের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত। সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকায় বরাবরের মতো চিংড়ির দাম এখনো আকাশ ছোঁয়া। ৫০০ টাকা নিচে কোনো ধরনের চিংড়ি মাছ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায়, পাঙাশ ২০০ টাকা, রুই, কাতলা ও মৃগেল ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, ভেটকি ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, মাছের দাম খুব দ্রুত কমে যাবে বলে আশা করছি। কারণ এতদিন সুন্দরবনের কোনো মাছ বাজারে আসেনি। এখন সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিন/চার দিনের মধ্যে মাছের দাম অনেক কমে যাবে।
এদিকে, গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। বাকি প্রায় সবজির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে এখনো করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পটল ৪০ টাকা, ধুন্দল ৩০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৯০ টাকা, আমদানির পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ২০ টাকা, ওল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, শসা ২০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই বাজারের নিয়মিত সবজি ক্রেতা ইয়াসির আরাফাত বলেন, বাজারে যে কখন কোন সবজি বা পণ্যের দাম বাড়ছে আর কোনটির দাম কমছে তা বলতে পারে না কেউ। ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আবার এমন কিছু সবজির দাম কমিয়ে দিচ্ছে যার তেমন চাহিদা নেই।
জোড়াকল বাজারে আসা গৃহবধূ রহিমা রহমান বলেন, হিসাব করে টাকা আনলেও কেনাকাটা করতে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকই কম পড়েছে। তাই দুই-তিন পদের পণ্য না কিনেই বাড়ি ফিরতে হয়।
সবজির বাজারদর এমন ওঠানামা করলেও স্থির রয়েছে ডিমের দাম। এখনো বাজারে ৫২ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির ডিম। আর দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি দরে।
পিএসএন/এমঅাই