খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনাকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়। এখানে ব্যবসাহী এবং সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের আনাগোনা বেশি। খুলনা নগরী বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা, ভৈরব এবং ময়ূর নদীর তীর জুড়ে অবস্থিত। ভিডিও খুলনা শহরের সবচেয়ে পুরানো সিনেমা হলের নাম উল্লাসিনী হল। ১৩৩৪ বাংলা সালের ২৬ শে আশ্বিন ‘রাজা হরিশ চন্দ্র’ ছবির প্রথম প্রদর্শন নিয়ে অগ্রযাত্রা শুরু হয় এই হলটির। সেই সময় ভৈরব নদীর পাড় ধরে নির্মাণ করা হয় খুলনা নগরীর প্রথম এই প্রেক্ষাগৃহ উল্লাসিনী হল।ভিডিও
এই প্রোগৃহ নির্মানের পিছনে একটা বিশেষ ঘটনার কথা শোনা যায়। হলটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জনৈক প্রথমনাথ দাশ কুরী। তিনি ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। শহরের মহেন্দ্র দাস মোড়ে তাঁর ছিল বিরাট কাপড়ের দোকান। তাঁর বাসভবন ছিল কালীবাড়ী রোডে। শোনা যায়, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুব ভালবাসতেন। তাই হলের নামকরণ করেছিলেন স্ত্রীর নামানুসারে। প্রমথ কুরীর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিল উল্লাসিনী। “শোনা যায় ‘বানী’ সিনেমার ‘সীতার পাতাল প্রবেশ’ ছবি চলছে। প্রমথ বাবুর পরিবার ছবি দেখার আমন্ত্রন পেয়ে স্ত্রী-পুত্র জীবন দাস ছবি দেখতে যান। ভিডিও
এদিন ছবিতে খুব ভিড় থাকায় তারা উপযুক্ত আসন ও সঠিক আপ্যায়নের অভাবে কিছুণ দাড়িয়ে থেকে চলে আসেন। এ ঘটনায় তারা বেশ অপমান বোধ করেন এবং সেখান থেকে প্রতিজ্ঞা করেন প্রোগৃহ নির্মাণ না করে তারা সিনেমা দেখবেন না। এর পর পরই প্রমথ প্রোগৃহ নির্মানের কাজ শুরু করেন। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই তার স্ত্রী মারা যান। উল্লাসিনীর আর নিজস্ব সিনেমা গ্রহে সিনেমা দেখা সম্ভব হয়নি।ভিডিও
হঠাৎ উল্লাসিনীর অকালমৃত্যু ঘটে। স্ত্রীর নামে রয়েযায় উল্লাসিনী সিনেমা হলটি । একটি তাঁর বাসভবনের কাছে কালীবাড়ী রোডে, ভৈরত নদীর তীরে অবস্থিত। ঐ সময়ে শহরে আর কোন সিনেমা হল ছিলোনা। এটিই শহরের প্রথম সিনেমা হল। উল্লাসিনী সিনেমা হলটি অনেক বছর যাবৎ বন্ধ হয়ে গেছে।ভিডিও
সিনেমা হলটি জ্বরাজীর্ণ অবস্থায় এখনো কালের সাক্ষী হয়ে বড়বাজারের ভৈরব নদের কুলে শীর্ণ অবস্থায় অবহেলিতভাবে পড়ে আছে। এক সময়কার হাউসফুল সিনেমা হলটি এখন জনশূন্য সেই সাথে নিস্তব্ধ।ভিডিও
পি এস / এন আই – ফারিয়া পিংকি