খুলনা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দালালদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ফাঁদ পাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে ঘুষ গ্রহণের পরই ফাঁদ টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত দালাল মেহেদী হাসান।
দুদকের খুলনা জেলা অফিসের একটি দল গোপনে ক্রেতা সেজে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে মেহেদী হাসান নামের এক দালাল টাকা নেওয়ার পরপরই সন্দেহ করে পালিয়ে যায়।
পরে দুদক দল সাব-রেজিস্ট্রার তন্ময় কুমার মণ্ডল, অফিস সহায়ক ফারুক হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদক কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক রাকিবুল ইসলাম জানান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দালাল ও নকলনবিশদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যারা সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সরকারি ফি আদায় করছে।
অভিযানের সময় নকলনবিশ রাসেল শিকদারের ব্যাগে ৭০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তিনি এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। অপর নকলনবিশ মিতা’র কাছে পাওয়া যায় ১২ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রশিদ (FDR)। তাকে এর উৎস প্রমাণে সময় দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, রাসেল শিকদার ও সহকারী রেকর্ডকিপার দীপক কুমার ব্যানার্জির মধ্যে বিকাশ ও নগদে লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছে দুদক, যা অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।
জেলা রেজিস্ট্রারকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে এবং তিনি অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান রাকিবুল ইসলাম।