খুলনা নগরীর সদর থানাধীন দারোগাপাড়া এলাকায় ফাতেমা বেগম (৫৫) নামের এক নারী নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের বিষয়ে তারা স্বীকার করেছেন বলেও জানা গেছে। গত ৭ জানুয়ারি সমিতির লোন দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ফাতেমা বেগমকে হত্যার পর মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে বটিয়াঘাটার উপজেলাধীন ১০ গেট এলাকায় নদীতে ফেলা হয়েছে বলে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তারা জানান। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিহতের স্বজনরা জানান, দারোগাপাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বগম ওই এলাকার ফারুক ও তার স্ত্রী’র মারফত একটি সমিতির লোন নেয়ার জন্য সাড়ে ৪ হাজার টাকা দেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তারা ফাতেমা বেগমকে লোন দেয়ার কথা বলে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে ফাতেমা বেগমকে মোবাইলে কল করে ডেকে নেয় ফারুক ও তার স্ত্রী। তাদের ভাড়া বাসায় বসেই তাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। এরপর রাত ৯টার দিকে লাশ বস্তাবন্দি করে বটিয়াঘাটার উপজেলাধীন ১০ গেট এলাকায় নদীতে ফেলে গুম করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, ফাতেমা বেগম নিখোঁজের পর থেকে তাকে বিভিন্ন জায়গায় স্বজনরা খুঁজে পায়নি। ঘটনার দিন দুপুরে ফাতেমা বেগমকে অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের বাসায় ঢুকতে দেখেছেন কয়েকজন এলাকাবাসী। এ ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে তাদেরকে আটক করা হয়। এরপর তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুলাহ আল মামুন জানান, অভিযোগ পেয়ে স্বামী এবং স্ত্রী দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলার রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থাসহ ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে