আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা ও ছয় শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান গতকাল(সোমবার) বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, জীবন যুদ্ধে জয়ী সকল নারী এক একজন জয়িতা। নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ ও সমাজের কোন ক্ষতি হয় না, বরং দেশ উপকৃত হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে এখন কোন ভেদাভেদ নেই। নারীরা ঘরে, বাইরে ও কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পূর্বের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পারেন।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) সুশান্ত সরকার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এডাব এর সভাপতি এ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু। স্বাগত বক্তৃতা করেন মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ড. পারভীন সুলতানা ও পাপিয়া খাতুন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার এক জন এবং জেলার পাঁচ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার সম্মাননা প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন-শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ড. পারভীন সুলতানা। এছাড়া খুলনা জেলার পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে দিঘলিয়ার পাপিয়া খাতুন, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী দাকোপের তাজরিনা সুলতানা, সফল জননী ক্যাটাগরীতে ডুমুরিয়ার মলিনা বিশ^াস, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা দাকোপের সীমা সরকার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় দাকোপের মিনারা খাতুন।