খুতবা বা জুমা পূর্ববর্তী ভাষণ জুমার নামাজের শর্ত। একদল আলেমের মতে, জুমার দুই খুতবা দু’রাকাত নামাজের স্থলাভিষিক্ত। জোহরের ফরজ নামাজ চার রাকাত; এর বিপরীতে জুমার ফরজ নামাজ দুই রাকাত। এ কারণে খুতবা হলো জুমার নামাজের অংশ। আর এজন্যই আরবিতে খুতবা দেওয়া জরুরি।
জুমার দুটি খুতবা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এক খুতবা দিয়ে জুমার নামাজ পড়ালে জুমার নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেলেও তা মাকরুহ হবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৪৮; হেদায়া: ১/১৪৮; ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া: ৩/৩৮৫) জুমার খুতবা না শুনলে
খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম। একইভাবে খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়। হাদিসে এসেছে, ‘যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না।’ (মেশকাত: ৩/৪৩২)
মূলত যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবার সময়ও হারাম। যেমন- কথাবার্তা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি। (ফতোয়ায়ে শামি: ৩/৩৫)
যদি কোনো কারণে জুমার খুতবা ছুটে যায়, তাড়াহুড়ো করে কোনোরকমে জুমার নামাজে অংশ নেওয়া যায়, এ অবস্থায় জুমার নামাজ আদায় হবে কি না জানতে চান অনেকে। এ বিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- খুতবা না শুনলেও জুমার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে, খুতবা শোনার ওয়াজিব কাজটি ছুটে যাওয়ায় জুমার নামাজের পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না। এজন্য খুতবা শোনার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। (জামেউল ফতোয়া, ইসলামি ফিকহ ও ফতোয়া বিশ্বকোষ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিন আগেভাগে মসজিদে আসার তাওফিক দান করুন। নিশ্চুপ হয়ে মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনার এবং নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।