ক্যামেরার সামনে বসে একের পর এক খাবার খেয়েই যাচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের খাবার। কেউ খাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে, কেউ বা একা। বাড়ির খাবার থেকে শুরু করে কোনো দিনের মেন্যুতে থাকে ডেজার্ট কিংবা রংবেরঙের খাবার। ইউটিউবে এমন ভিডিও বেশ জনপ্রিয়। তবে এই তরুণী ক্যামেরার সামনে খাবার খেয়েই মাসে আয় করেন প্রায় ৮ কোটি টাকা।
কানাডার অন্টারিওর বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী নাওমি ম্যাকরে। ইউটিউবের দর্শক অবশ্য নাওমিকে চেনে হুনিবি নামে। নাওমি পেশা জীবন শুরু করেছিলেন ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে। তিনি বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছেন কয়েকবার। তবে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে যখন পড়ছেন তখনই এএসএমআর (ASMR) কন্টেন্টে হাত পাকাতে শুরু করেন।
এএসএমআর হলো অটোনোমাস সেনসরি মেরিডিয়ান রেসপন্স। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সুক্ষ্ম শব্দ মস্তিষ্কে এক ধরনের অনুরণন তৈরি করে। যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, শরীরকে আরাম দেয়। খাওয়ার সময় আমাদের মুখ থেকে যে শব্দ হয়, তাতেও একই কাজ হয়। এ কারণেই একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে ফুড চ্যানেলের ভাবনা এসেছিল নাওমির মাথায়। যেখানে কথা না বলে এএসএমআর কনটেন্ট তৈরি করতে শুরু করেন তিনি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ক্যামেরার সামনে নাওমি যা খান তাও কিন্তু স্পেশাল। নাওমি মূলত বিভিন্ন সাইজের চকলেট খান। কোনটা দেখতে মাছের মতো, কোনোটা যেন হেয়ারব্রাশ। সঙ্গে পানীয় হিসেবে শ্যাম্পেনের বোতল থাকে। আর সেই সব খাবার হয় চটকদার লাল-নীল-সবুজ রঙের।
এই খাবার দর্শকের মন কাড়ার জন্য অর্ডার দিয়ে তৈরি করা। চুপিচুপি এএসএমআর ফুড ব্লগ শুরু করে মাস তিনেকের মধ্যে ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারে পৌঁছে যান নাওমি। বর্তমানে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা সাড়ে ৭০ লাখেরও বেশি। আর মাসে আয় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে তিনি ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন।
নাওমি বলেন, আমার কাজ আমি ভীষণ ভালোবাসি। বিশ্বের কোনো কিছুর বিনিময়ে এই কাজকে আমি বেচতে পারব না।