খুলনার কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামে বাবা, মা ও মেয়ে হত্যাকান্ডের মূলরহস্য উদ্ঘাটন ও মূল আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের মা মোছা: কহিনুর খানম।
এ মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশের বক্তব্য অস্বীকার করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শুধু পরকিয়ার জন্য নয়, হত্যাকান্ডের পেছনে অন্য রহস্য রয়েছে।
হত্যাকান্ডের মূল কারণ পিন (সীমানা পিলার) ও তক্ষক সাপের ব্যবসার আর্থিক লেনদেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিহত জিয়াউর রহমান জিয়ার ঘরে মূল্যবান পিলার ছিল, সে রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি নিহতের পরিবারের। অথচ মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরপরাধীদের অবিলম্বে মুক্তি ও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারপুর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত্ব, গত ২৬ অক্টোবর সকালে বামিয়া গ্রামের মাজেদ গাজীর বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃত মাজেদ গাজীর পুত্র হাবিবুর রহমান(৩৫), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩২) ও কন্যা হাবিবা খাতুন টুনির (১৩) মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এ ঘটনায় হাবিবুরের মা মোছা: কহিনুররখানম বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনসহ মূল আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে কয়রাতে মানববন্ধন করে ঘুঘরাকাটি ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য, ছাত্র, ছাত্রী ও অভিভাবকরা। উল্লেখ্য, ওই মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনির ছাত্রী হাবিবা খাতুন টুনিকে তার পিতা ও মাতার সাথে কুপিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় খুনিরা। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই মামলার ১৫ জনকে গ্রেফতার করেন।
বাদীপক্ষ প্রেসব্রিফিং বলেন, পুলিশ জাদের গ্রেফতার করেছে এরা বেশীরভাগ নিরোহ মানুষ, আসল খুনদের গ্রেফতার না করে বিভিন্নভাবে মামলাটাকে ভিন্নরুপে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে পুলিশ বলেন বাদীপক্ষ।
মামলার বাদীদের দাবী আসোল হত্যাকারীকে খুজেঁ গ্রেফতার করতে হবে, সেই সাথে এই মামলাটি পিবিআই অথবা সিআইডি পুলিশকে মামলাটি তদন্তভার দিলে আসোল খুনিদের গ্রেফতার ও মামলাটি সকল তথ্যবের করতে পারবেন বলে, বাদীরা প্রেসব্রিফিং এইসব বলেন।
পিএসএন/এমঅাই