ক্ষমতায় গেলে বিএনপি শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারেও দেশের পরিচিতি বাড়বে। পাশাপাশি কৃষিকে আধুনিকায়ন করে কৃষকদের জন্য আলাদা সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুরে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ৩১ দফা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এক অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, যারা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তারাই দলটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি চাই না। তবে ৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে জুলুম-নির্যাতনের প্রকৃত জবাব। আমার ওপর, আমার মায়ের ওপর, আমার ভাইয়ের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে- তার জবাব আমরা প্রতিহিংসার মাধ্যমে নয়, বরং ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দিতে চাই।
তারেক রহমান বলেন, সাম্প্রতিক আলোচনায় দেখা যাচ্ছে— প্রান্তিক জনগণের যে চাওয়া-পাওয়া, তা ৩১ দফার সঙ্গে মিলে যায়। এখন এগুলোকেই কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার জনগণকে বিভক্ত রাখতে ধর্ম ও মতাদর্শকে ব্যবহার করেছে। আমরা বাংলাদেশি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হবো, ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে আমরা একটি সম্প্রীতির সমাজ গড়তে চাই।
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বেকার। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না করে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপি সরকারে গেলে এসব ক্ষেত্রে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ক্ষমতায় গেলে বেকারদের জন্য ভাতা চালু করবে বিএনপি: তারেক রহমান
তারেক রহমান আরও বলেন, রাজনীতির বাইরে থাকা শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ সমাজের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করবে বিএনপি।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাউল জাহাঙ্গীর আলম শেপু। এতে অংশ নেন প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, গণশিক্ষা সম্পাদক মোর্শেদ হাসান খান প্রমুখ।