শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনের পর দুই দিনের অনুশীলন, তারপর নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচও শেষ। এখন অপেক্ষা টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার। আগামী ২১ এপ্রিল ক্যান্ডিতে শুরু দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। সে লক্ষ্যে আজ সকালেই নিগোম্বো থেকে ক্যান্ডি যাত্রা টাইগারদের।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা নাগাদ ক্যান্ডির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ দলের যাত্রা শুরু হয়েছে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, আমরা এখন টিম বাসে করে ক্যান্ডি যাচ্ছি।
আগেই জানা নিগোম্বো থেকে বাসে করে ক্যান্ডি যেতে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টার মত লাগে। তবে জাতীয় দলের বহর যেহেতু নিজেদের বাসে যাবে, তাই পথে বিরতি দিয়ে প্রায় ৫ ঘন্টার মত লেগে যাবে। তাই ধরে নেয়া যায়, আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার আগে ক্যান্ডিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম।
সফরের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন আগেই জানিয়েছেন, আজ আর কোন অনুশীলন হবে না। ক্যান্ডি পৌঁছানোর পর বিশ্রামেই কাটবে সন্ধ্যা ও রাত। পরে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে অনুশীলন।
এদিকে সবার কৌতূহলী প্রশ্ন, ২১ জনের প্রাথমিক দল থেকে যে ১৬ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড সাজানোর কথা, সেটার খবর কী? ঐ দল কবে ঘোষণা হবে? যারা টেস্ট দলে থাকবেন না, তারা কি দেশে ফিরে আসবেন?
এ প্রশ্নের জবাবে দল নেতা খালেদ মাহমুদ সুজন ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, আমরা ১৫-১৬ জনের দল চূড়ান্ত করে ফেলব। তবে যারা মূল স্কোয়াডে থাকবে না, তাদের দেশে ফেরত পাঠান হবে না।
হবে না বলার চেয়ে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত। কারণ কলম্বো থেকে এখন দেশে ফেরার কোন ফ্লাইট নেই। সব ফ্লাইট বন্ধ। পুরো টেস্ট সিরিজ শেষে বাকিরা মূল দলের সঙ্গেই বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসবেন।
দল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে প্রধান নির্বাচক জাগো নিউজকে বলেন, সব কিছুঠিক থাকলে আমরা আজ ক্যান্ডি পৌঁছে দল ঘোষণা করব। খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, দল চূড়ান্ত হওয়ার পরে যারা বাইরে থাকবে, তারা হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে একসঙ্গে থাকলেও দলের সঙ্গে টেস্ট চলাকালিন মাঠে আসতে পারবে না। তাদের ড্রেসিংরুমে প্রবেশাধিকারও থাকবে না। শুধুমাত্র টেস্ট স্কোয়াডে যারা থাকবে, তারাই ড্রেসিংরুমে থাকবে।
তবে সুজন ও নান্নু দুজনই জানিয়েছেন, যারা টেস্ট দলের বাইরে থাকবে, তারা নেটে বোলিং করবেন। প্রচণ্ড গরমে নেটে বোলিংয়ের জন্য বাড়তি বোলার প্রয়োজন, তাই মূল দলের বাইরে থাকারা নেট বোলারের ভূমিকায় থাকবেন।
এখন প্রশ্ন হলো, ২১ জন থেকে চূড়ান্ত স্কোয়াডে কত জন থাকবেন? কয়জন বাদ যাবেন? প্রধান নির্বাচক নান্নু সংখ্যাটি নিশ্চিত করেননি। বলেছেন ১৫-১৬ জনের দল হবে।
মুশফিকুর রহিম কিপিং করছেন না, এটা জানাই আছে। লিটন দাসকেই ভাবা হচ্ছে সম্ভাব্য উইকেটকিপার। তবে রিজার্ভ কিপার হিসেবে মূল স্কোয়াডে নুরুল হাসান সোহানের থাকার সম্ভাবনা আছে বেশ। ধারণা করা হচ্ছে, শুভাগত হোমও হয়তো স্পিনিং অলরাউন্ডারের কোটায় বিশেষ বিবেচনায় থাকবেন। সে ক্ষেত্রে অফস্পিনার নাঈম হাসানের দলে থাকার সম্ভাবনা খুব কম।
এছাড়া ব্যাক আপ পেসার হিসেবে যাওয়া দুই তরুণ মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ আর শহিদুল ইসলাম টেস্ট দলে থাকার কথাও না। এদের সঙ্গে আরেক তরুণ শরিফুল ইসলামকেও হয়ত ১৬ জনে দেখা যাবে না। সঙ্গে আরেক পেসার খালেদ আহমেদও হয়তো ১৬ জনের দলে জায়গা পাবেন না।
তাহলে ২১ জনের প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়তে যাওয়া সম্ভাব্য পাঁচজন হলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, শরিফুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও শহিদুল ইসলাম।
অর্থাৎ ১৬ জনের সম্ভাব্য স্কোয়াড দাঁড়ায়: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, ইয়াসির আলি রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, শুভাগত হোম, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন।