সাজিদ হাসান সৈকত
কোরবানি ঈদ, যা ঈদুল আযহা নামেও পরিচিত, ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবটি মূলত পশু কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে পালন করা হয়, যা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ত্যাগের প্রতীক।
কোরবানি ঈদের আমল
- ঈদুল আযহার নামাজ: ঈদের দিন বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। এটি দুই রাকাআত বিশিষ্ট এবং মসজিদে বা খোলা মাঠে জামাতে আদায় করা হয়।
- কোরবানি: ঈদুল আযহার মূল আমল হল কোরবানি করা। হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর ত্যাগের স্মরণে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
- কোরবানির মাংস বিতরণ: কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে একটি ভাগ নিজের জন্য, একটি ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং একটি ভাগ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
- দোয়া ও তাকবির: ঈদের দিন তাকবির (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার…) বলা হয় এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
কোরবানি ঈদের তাৎপর্য
- আনুগত্যের প্রতীক: কোরবানি ঈদ মূলত আল্লাহর প্রতি পূর্ণাঙ্গ আনুগত্য ও বিশ্বাসের প্রতীক। হযরত ইবরাহিম (আঃ) আল্লাহর আদেশে তাঁর প্রিয় সন্তানকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন, যা তার পূর্ণাঙ্গ আনুগত্যের প্রমাণ।
- সমাজে সমতা: কোরবানির মাংস বিতরণের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা দেয়া হয়। গরিব-দুঃখী, ধনী-গরিব সবার মধ্যে খাবার ভাগাভাগি হয়, যা সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক।
- আল্লাহর নৈকট্য: কোরবানি ঈদে যে ত্যাগ ও উৎসর্গ করা হয়, তা মুসলিমদের আল্লাহর আরও নিকটবর্তী করে। এটি তাদের ঈমানকে আরও দৃঢ় করে এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
- ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা: হযরত ইবরাহিম (আঃ) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর উদাহরণ থেকে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা পাওয়া যায়। কঠিন সময়েও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে এবং তাঁর আদেশ পালন করতে উৎসাহিত করা হয়।