নাম তার রাজাবাবু। থাকে শান্ত মেজাজে। মৌসুমী ফল তার খুবই প্রিয় খাবার। ছোলা, ভুট্টা, ভূষির পাশাপাশি আপেলও পছন্দ তার। রাজাবাবু হলো কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে কৃষক রফিকুল ইসলামের পোষা গরুর নাম। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজাবাবুকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩০ মণ ওজনের রাজাবাবু এবার এ অঞ্চলে বড় গরুর তালিকায় রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে কৃষক রফিকুল ইসলাম গত দুই বছর রাজাবাবুকে লালন-পালন করছেন। উদ্দেশ্য কোরবানির ঈদে বিক্রি করা। সরেজমিনে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, রাজাবাবুকে গোয়াল থেকে বের করে নারকেল গাছ ও বাঁশের খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে বাইরে বের করার খবর শুনে এলাকার মানুষ একনজর দেখতে ভিড় করেন। এ উপজেলায় রাজাবাবুই এবার বড় গরুর তালিকায় রয়েছে।
কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কেনেন। গরুটির স্বভাব শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় নাম রাখেন ‘রাজাবাবু’। প্রতিদিন তাকে দু’বার ছোলা, ভুট্টা, ভূষি, বিচালী ও ঘাস খাওয়ানো হয়। এর পাশাপাশি মৌসুমী ফলসহ আপেলও খেতে দেওয়া হয়। ফলফলাদি না পেলে সে হুংকার ছুড়তে থাকে। তখন দু’একটি মৌসুমী ফল তার সামনে দিলে মুখে নিয়ে শান্ত হয়ে যায়।
কৃষক রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ফিতা দিয়ে মাপা এ গরুটির ওজন এখন ৩০ মণের উর্ধ্বে। ১৫ লাখ টাকা গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে। দরদামে সামান্য কমবেশি হলেও গরুটি বিক্রি করে দিবেন। যিনি রাজাবাবুকে কিনবেন তার জন্য গরুটি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এভাবেই লালন-পালন করে দিবেন বলেও কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান।