রিয়াল মাদ্রিদে পার করেছেন ক্যারিয়ারের সোনালি সময়। মার্সেলোর সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রসায়ন কেড়ে নিয়েছিল ইউরোপের বড় বড় দলের ঘুম। সেখান থেকে থেকে অলিম্পিয়াকোস হয়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্সেলো ফেরেন শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি দুই মাস আগে নিজেদের ট্রেনিং সেন্টারের নামও বদলে ফেলে মার্সেলোর নামে।
কিন্তু সেই ক্লাবেই শেষটা আর ভালো হলো না মার্সেলোর। কোচের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ানোর পর ব্রাজিলিয়ান সিরি আর ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হলো ব্রাজিলের এই কিংবদন্তি ডিফেন্ডারের। শনিবার পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি বাতিল করার কথা নিশ্চিত করেছে ফ্লুমিনেন্স। যদিও কী কারণে চুক্তি বাতিল হয়েছে, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ক্লাবটি।
অবশ্য তাতে নিশ্চয় আর সাংবাদিক ও সমর্থকদের ফাঁকি দেয়া চলে না। কোচ মানো মেনেজেসের সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার ভিডিওটা এরইমাঝে দখল করেছে সোশ্যাল মিডিয়া। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বলা চলে কোচের সঙ্গে তর্কাতর্কি করেই ক্লাবছাড়া হতে হয়েছে মার্সেলোকে। গত শুক্রবার রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে গ্রেমিওর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে ঘটেছে ঘটনাটি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে বদলি হিসেবে নামার জন্য সাইডলাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন মার্সেলো। তখন কাঁধে হাত রেখে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফ্লুমিনেন্স কোচ মানো মেনেজেস। মাঠে নামার আগমুহূর্তে মেনেজেসকে উদ্দেশ করে কিছু একটা বলতে দেখা যায় মার্সেলোকে। বোঝাই যাচ্ছিল, কোচের কোনো এক ট্যাকটিকাল নির্দেশনা পছন্দ হয়নি মার্সেলোর।
একপর্যায়ে মার্সেলোকে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন মেনেজেস এবং অন্য একজন খেলোয়াড়কে (জন কেনেডি) ইশারা করে ডাক দেন। এরপর মার্সেলো গিয়ে বেঞ্চে বসে পড়েন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তী সময় দুই পক্ষের চুক্তি বাতিলের খবর সামনে আসে।
সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মেনেজেস বলেছেন, ‘আমি সে সময় মার্সেলোকে নামাতে যাচ্ছিলাম। তবে আমি এমন কিছু শুনেছি, যা আমার পছন্দ হয়নি। ফলে আমি আমার মন বদলে ফেলি।’
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ফ্লুমিনেন্সের বয়সভিত্তিক দল দিয়ে ফুটবলের যাত্রা শুরু করেন মার্সেলো। ২০০৫ সালে ক্লাবটির হয়ে পেশাদার ফুটবলেও অভিষেক হয় তাঁর। ২০০৭ সালে চলে যান রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে ১৫ বছরে মার্সেলো জিতেছেন ২৫টি ট্রফি।