‘ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে স্থাপন হচ্ছে দুই হাজার সিসি ক্যামেরা’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনেরআর মাত্র ৩ দিন বাকী । শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণায় খুলনা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরতরা। ইতোমধ্যে ৫ হাজার ৪৮৫ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে ভোট গ্রাহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র এবং বুথের সামনে স্থাপন করা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ৩১টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা প্রায় দুই হাজার ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটর্রিং করবে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, কেসিসিতে এ বছর ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে তারা ভোট প্রদান করবেন। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সহজ করতে এসব কেন্দ্রে ১ হাজর ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হবে। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৮৯টি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের সামনে একটি করে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থাকবে। এছাড়া ১ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা সরেজমিনে ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে কোথায় ক্যামেরা স্থাপন করা হবে তা সংশ্লিষ্টদের দেখিয়ে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন খুলনায় এসেছে। ইভিএম মেশিনসহ ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম আগামী ১১ জুন বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্্র থেকে ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ১২ জুন ভোট গ্রহণ শেষে রাতে বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্্র থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।