খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে ৪২ হাজার ৪২৯ জন। ভোটার বৃদ্ধির কারণে ভোটকক্ষ বা বুথ বাড়ানো হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ও বুথের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র না বাড়লেও বেড়েছে ভোটকক্ষের সংখ্যা।
খুলনা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনায় ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এবার মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৮ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪ জন। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ভোটার বেড়েছে মোট ৪২ হাজার ৪২৯ জন।
এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি আর বুথ ১ হাজার ৭৩২টি। গত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ছিল ২৮৯টি এবং বুথ ছিল ১ হাজার ৫৬১টি। ফলে এবার বুথ বেড়েছে ১৭১টি।
এদিকে পাঁচ বছরের ব্যবধানে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টিতে ভোটার বাড়লেও কমেছে খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। এরমধ্যে নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৮ সালে ভোটার ছিল ৭ হাজার ১৯৫ জন। বর্তমানে ভোটার ৬ হাজার ৭২৬ জন। ভোটার কমেছে ৪৬৯ জন।
এছাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৮ সালে ভোটার ছিল ৯ হাজার ২৫০ জন। এবারের নির্বাচনে ভোটার ৮ হাজার ৬৮৯ জন। ভোটার কমেছে ৫৬১ জন। দুটি ওয়ার্ডে ভোটার কমেছে ১ হাজার ৩০ জন।
স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালের জুলাইয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল বন্ধ হয়ে যায়। এ চারটি পাটকলের শ্রমিকদের বড় অংশের বাস ছিল ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের এই চারটি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক বরিশাল, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। ফলে ভোটার তালিকায় তাদের নাম স্থানান্তর করা হয়েছে। যে কারণে এই দুটি ওয়ার্ডে ভোটার কমেছে।
এদিকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৫ মেয়র প্রার্থীসহ ১৫৯ জন খুলনা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফফার বিশ্বাস এসএম শফিকুর রহমান ও আগুয়ান ৭১ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কেসিসি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাজী বেনজির আহমেদ বলেন, ভোটার সংখ্যা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তফসীল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ মে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, ১৮ মে মনোনয়ন বাছাই, ২৫ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
পিএসএন/এমঅাই