খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী খুলনার বেসরকারি নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা। মামলার আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদী।
মামলার আসামিরা হলেন স্বর্ণার স্বামী আলিফ মোহাম্মদ, আলিফের বোন আরশা আলমগীর, তার মা আনোয়ারা খাতুন মুক্তা। তারা নগরীর বানরগাতীর দারুস সালাম মহলার আঃ জলিলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া। তারা রাজশাহীর বোয়ালিয়ার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আলিফের সাথে ২০২২ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় স্বর্ণার। দম্পতির চার মাস বয়সের আহিয়া ইসলাম সারা নামের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিবাদী আলিফ বিভিন্ন সময় স্বর্ণাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এছাড়া জার্মানীতে পড়াশুনা করার জন্য বাদীর পরিবারের নিকট ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় আলিফকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকিও দেন স্বর্ণার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ বিষয়ে গত ১ জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন স্বর্ণা। গত ৫ ফেব্র“য়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আদালতে (নং-৩) সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী জি এম আব্দুল আলিম।
বাদী সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমের আলিফের সাথে পরিচয়। তিন বছর প্রেমজ সম্পর্কের পর বিয়ে হয়। আমার বাবা-মা কেউ নেই। আমি আমার নানী কাজী শাহানা বানুর নিকট থাকি। আলিফ আমার এবং নানীর কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন বিদেশে লেখাপড়ার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন সময় আমার ওপর নির্যাতন করতেন।
বিবাদী আলিফ মোহাম্মদ জানান, মামলার ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে গত এক মাস স্বর্ণা আমার সাথে থাকে না। মামলার বিষয়টি সাজানো বলে তিনি দাবি করেন।