শীতকালে ঘনকুয়াশার কারণে ঢাকায় উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যা হলে বিকল্প হিসেবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণ করবে।
এজন্য শাহ আমানত সপ্তাহে চার দিন, বাকী তিন দিন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
রোববার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে বেবিচকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।শীতকালে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে প্রায়ই শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণ করতে পারে না। রানওয়ের দৃশ্যমানতা (ভিজিবিলিটি) কম থাকায় লম্বা সময় ধরে ফ্লাইটগুলো আকাশে চক্কর দেয়। কখনো প্রতিবেশী দেশ ভারতেও সাময়িকভাবে অবতরণ করতে হয়।এতে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়, তেমনি উড়োজাহাজ পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বাড়তি খরচ গুণতে হয়।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “অতীতে শীতকালীন ঘনকুয়াশার কারণে বিমান ঢাকায় অবতরণ করতে না পারলে তা অন্য দেশের বিমানবন্দরে নিয়ে যেতে হতো। তবে এবার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সপ্তাহে চার দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।“বাকি তিন দিন সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একইভাবে চালু থাকবে। ফলে বিকল্প হিসেবে এই দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট ল্যান্ড করানো যাবে।”
এসময় বেবিচক চেয়ারম্যান শাহ আমানত বিমানবন্দরের যাত্রী প্রান্তিক ভবন, যাত্রী লাউঞ্জ, রানওয়ে, অ্যাপ্রোন, নতুন বোর্ডিং ব্রিজ, শিশু পার্ক, ড্রাইভওয়েসহ অন্যান্য চলমান প্রকল্প পরিদর্শন করেন।তিনি প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহবুব খান, সদস্য (অর্থ) এস এম লাবলুর রহমান এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর।
এসময় বেবিচকের সহযোগিতায় চক্ষু চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশে একাদম বারের মতো অবতরণ করা ‘অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান।