ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের অমরনাথ তীর্থকেন্দ্রে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু পুণ্যার্থী।
শুক্রবার বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরের অমরনাথের পবিত্র গুহা এবং স্থানীয় কালীমাতার মাঝামাঝি একটি এলাকায় অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় পানির উচ্চতা বেড়ে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। এতে পূণ্যার্থীদের ২৫টির মতো শিবির পুরোপুরি ভেসে যায়। স্থানীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের দাবি, ওই এলাকার কাছে অন্তত ১০-১২ হাজার পুণ্যার্থী ছিলেন।
ইতোমধ্যে, হিমালয়ের প্রত্যন্ত ওই তীর্থকেন্দ্রে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে ভারতের জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। জানা গেছে, ভারতের ইন্দো টিবেটান সীমান্ত পুলিশও হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে।
কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, অমরনাথ গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে কিছু লঙ্গর এবং তাবু ভেসে গিয়েছে। পুলিশ, এনডিআরএফ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অমরনাথ বেস ক্যাম্পে নিরাপত্তা বাহিনী ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আইটিবিপির তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় অনেক প্রাণহানীর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়।
৩০ জুন শুরু হওয়ার পর থেকেই বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে অমরনাথ যাত্রা । বিরূপ আবহাওয়ার জন্য দিন দুয়েক আগে যাত্রা স্থগিত করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। পুন্যার্থীদের পহলগামের নুনওয়ান বেস ক্যাম্প থেকে আগে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান কর্মকর্তারা। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার থেকেই ফের অমরনাথ গুহা দর্শনে রওনা হওয়ার অনুমতি পান পুন্যার্থীরা। পহলগাম ছাড়াও অমরনাথ যাত্রার আরেকটি বড় বেস ক্যাম্প রয়েছে গান্দেরবাল জেলার বালতালে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই ক্যাম্পেও পুন্যার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, ইথিমধ্যে এক লাখেরও বেশি পুন্যার্থী অমরনাথ গুহা দর্শন করে ফিরে গিয়েছেন। তবে জম্মু ও কাশ্মীরে খারাপ আবহাওয়ার জন্য বারবার যাত্রা স্থগিত করছে প্রশাসন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
পি এস / এন আই