নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে ওই নারী মামলা দায়ের করেন। তিনি নিজেকে একজন গণমাধ্যমকর্মী বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরিব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই-চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। তিনি উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন চিত্তরঞ্জন দাস। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিনের আদেশ দেন।