দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই আছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে নতুন করে ভাইরাসটির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এজন্য সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ৬ দফা সুপারিশ করেছে কমিটি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৭তম সভা জুমের মাধ্যমে ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ভবিষ্যতে বৃদ্ধি রোধে করণীয় বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি মতামত জানতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে সভায় কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে ছয়টি সুপারিশ দেন।
সুপারিশগুলো হলো
১. বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পার্শ্ববর্তী দেশসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, যা উদ্বেগজনক। জাতীয় কারিগরি কমিটি আশঙ্কা করে এখন থেকেই সতর্ক না হলে দেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি। একইসঙ্গে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
২. যেসব দেশে সংক্রমণের হার বেশি, সেই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আগমনের ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা এবং সব বন্দরে জনগণের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদারকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩. আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাজার, কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তারাবির নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪. কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সভা আয়োজন করে এই বিষয়ক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
৫. করোনা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করে সবাইকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে থাকার সুপারিশ করা হয়।
৬. সভায় জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে সভায় কমিটির নতুন সদস্যদের স্বাগত এবং বিদায়ী সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
পি এস/এন আই