দেশে করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে। তবে এরই মধ্যে চীন, ভরতসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে ভাবাচ্ছে করোনাভাইরাস। এই অবস্থায় করোনার টিকা কর্মসূচি জোরদার, বন্দরে সতর্কতা জারি, হাসপাতালে প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জনানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ১০টায় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৬১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটি বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. কোভিড ১৯ এর বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতীয় কমিটি সব সময় পর্যালোচনা করছে এবং তাদের মতামত ও পরামর্শ সরকারের কাছে তুলে ধরছে।
২. ফ্রন্ট লাইনার, ১৮ বছর ও তদুর্ধ কোমরবিড রোগে আক্রান্ত এবং ৬০ বছর উর্ধ্ব সকলকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ বা চতুর্থ ডোজের টিকার চলমান ক্যাম্পেইনের আওয়াত আনার ব্যাপারে সকল প্রকার জনসংযোগ, প্রচার প্রচারণা জোরদার করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ফাইজার তাদের ৯ মাস মেয়াদি ভ্যাকসিনের মেয়াদ ১২ মাস এবং ১২ মাস ভ্যাকসিনের মেয়াদ ১৫ মাস বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন দিয়েছে যা দেশে বিদ্যমান সকল নিয়ম মেনে দেওয়া হচ্ছে বলে কমিটি মনে করে।
৪.. Vulnerable group এবং comorbid রোগে আক্রান্ত সকলকে কোভিড ১৯ এর সকল স্বাস্থ্যবিধি যেমন মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
৫. দেশের বন্দর ও প্রবেশ মুখগুলোতে বিশেষ করে চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত যাত্রীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ থাকলে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
৬. দেশের সকল কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালকে কোভিডের চিকিৎসা প্রদানের ব্যাপারে প্রস্তুত রাখতে অধিদফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা প্রয়োজন।