গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৬০ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৬৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৩ জনে। মৃত চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। চারজনের মধ্যে তিনজন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৭ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৫১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫২টি, জিন এক্সপার্ট ৫৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৪২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ২৪৫টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৫টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার এক দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত চারজনের মধ্যে তিনজন ঢাকা বিভাগের ও একজন রাজশাহী বিভাগের।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮৯ হাজার ৮৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৫৪ হাজার ৯২১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৪ হাজার ১৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।