বর্তমানে অনলাইন কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত একবছর অর্থাৎ মহামারির সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা অনেক বেড়েছে। এ সময় বিভিন্ন মার্কেট বা শপিং মলগুলোতে যাওয়া নিরাপদ নয়। তাই অনলাইন শপিংয়েই ভরসা সবার।
শুধু এক ক্লিকেই পছন্দের পণ্যটি ঘরের সামনে এসে হাজির হবে। এমন মোক্ষম সুযোগ থাকতে কষ্ট করে শপিংমল ঘুরে কেনাকাটার কোনো মানেই হয় না! আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। সেই সঙ্গে আসছে ঈদ, সব মিলিয়ে অনলাইনে এখন থেকেই যেন কেনাকাটার ধুম পড়ে গিয়েছে।
তবে মহামারির এ সময় অনলাইনে কেনাকাটার সময় বেশ সাবধানতা মানা জরুরি। না হলে আপনি যতই সাবধানে থাকুন না কেন, করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে। কারণ অনলাইনে কোনো পণ্য অর্ডার করলে তা ডেলিভারি দেওয়া হবে আপনার কাছেই।
ডেলিভারিম্যান থেকে শুরু করে যে পণ্যটি ক্রয় করেছেন, তাতেও থাকতে পারে করোনার জীবাণু। এজন্য এসময় বেশ কিছু বিশেষ মাথায় রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক করণীয়-
>> ডেলিভারিম্যানের কাছ থেকে পণ্যটি সংগ্রহের আগে অবশ্যই মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরুন। এরপর তার কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করুন। ডেলিভারি ম্যানের কাছাকাছি দাঁড়াবেন না।
>> আগে থেকেই যদি পেমেন্ট করা থাকে তাহলে ডেলিভারিম্যানকে আপনার দরজায় পণ্যট রেখে চলে যেতে বলুন। এর কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে পণ্যটি সংগ্রহ করুন সাবধানতার সঙ্গে।
>> পারলে নগদ লেনদেন পরিহার করুন। সুযোগ থাকলে বিকাশে বা কার্ডে যদি পেমেন্ট করতে পারেন। আর যদি ক্যাশ দিতেই হয় তবে ভাংতি করে দিন। তার কাছ থেকে কোনো টাকা যেন ফেরত নিতে না হয়। এ সময় নগদ টাকা লেনদেন যত কম করা যায়; ততই ভালো। কারণ টাকার মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে।
>> পণ্যের প্যাকিং বাইরেই খুলুন। প্লাস্টিকের ওপর করোনাভাইরাস দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। আপনার অর্ডার করা পণ্যটি যে মোড়কেই আসুক না কেন, বাড়ির বাইরেই খুলে ফেলুন। অবশ্যই ডাস্টবিনে ফেলবেন।
>> পণ্যটি সংগ্রহ করে স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে নিন। এতে করোনাভাইরাসের জীবাণু থাকলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে জামা-কাপড় হলে কয়েকঘণ্টা রোদে দিয়ে রাখুন বা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আলাদা এক স্থানে রেখে দিন।
>> সব কাজ শেষে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। মনে রাখবেন, হাত ধোয়ার আগ পর্যন্ত মুখে কখনো স্পর্শ করবেন না। সব কিছু পরিষ্কার করা শেষে হাতের গ্লাভসটি বাইরের ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিন। তারপর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। ঘরে থাকলে যেকোনো কাজের পরপরই হাত ধুয়ে নিন।