দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনার টিকার এমআরএনএ প্রযুক্তি স্থানান্তর কেন্দ্র থেকে সহায়তা পাবে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। বুধবার সংস্থার মহাসচিব টেডরস গেব্রিয়াসাস আধানম এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বছর এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে প্রশিক্ষণ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি কেন্দ্র স্থাপন করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, সার্বিয়া ও ভিয়েতনাম এই কেন্দ্রে তাদের কর্মীদের টিকা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাতে পারবে।
বুধবার টেডরস আধানম জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২০টি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্র থেকে এমআরএনএ টিকা তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে তারা এমন দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন যাদের এমআরএনএ প্রযুক্তি নেই, তবে ইতোমধ্যে তাদের কিছু উৎপাদন পরিকাঠামো ও ক্ষমতা রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো যাতে নিজেরাই করোনার টিকা উৎপাদন করতে পারে সেজন্য তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় আরেকটি এমআরএনএ প্রযুক্তি স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। নতুন এই কেন্দ্রটি টিকা, ইনসুলিন, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মতো পণ্য তৈরি করতে ইচ্ছুক দেশগুলোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘বর্তমানে, জৈব-উৎপাদন প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রধানত উচ্চআয়ের দেশগুলোতে অবস্থিত… এটি অনেক নিম্ন আয়ের দেশকে টিকা প্রাপ্তি নাগালের বাইরে রাখছে।’