করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি ও সংক্রমণের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে লাখেরও কম মানুষের শরীরে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে তিন শতাধিক। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৪ জনে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ১৬৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩১ হাজারের বেশি। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ হাজার ১২৪ জনের শরীরে। এছাড়া দেশটিতে নতুন মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭১ হাজার ৫৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন। চিলিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৬৩ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৬০৫ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮৪ জন মারা গেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৪১ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন, ফ্রান্সে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৩৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর প্রাণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাতে থাকে অদৃশ্য ভাইরাসটি। তালিকা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। এখানেও ভাইরাসটি ব্যাপক আকার ধারণ করে।
ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে বিশ্বের বহু দেশ দীর্ঘদিন লকডাউনের কবলে থাকে। স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্বব্যবস্থা। আস্তে আস্তে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করলে সবকিছুও স্বাভাবিক হতে থাকে।