খুলনার কয়রা উপজেলার দুই নম্বর কয়রা গ্রামবাসী ২ ধর্ষণ চেষ্টাকারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার পর পুলিশের হেফাজত থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েও পুনরায় পুলিশ তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে তারা ভুক্তভোগী মা মেয়ে গ্রামবাসীকে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রাখায় ভুক্তভোগী মা-মেয়েসহ গ্রামবাসীরা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন মহলে জানাজানি হলে পুনরায় একই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলা সদরের সন্নিকটে ২নম্বর কয়রা গ্রামে ভুক্তভোগী স্বামী পরিত্যক্ত মনজিলা পারভীনের বসত ঘরে।
ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে ভুক্তভোগীর বসত ঘরে ঢুকে স্বামী পরিত্যক্ত মা ও নবম শ্রেনিতে পড়ুয়া শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা কালে মা মেয়ের চিৎকারে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে দুই নম্বর কয়রা গ্রামের আমজাদ ঢালির পুত্র সুজন বাবু(৩২) একই গ্রামের মোকছেদ গাজীর পুত্র বাবুল (২৮) কে হাতেনাতে আটক করে কয়রা থানাকে মোবাইল করা হলে কয়রা থানা পুলিশের এএসআই মাসুদের কাছে সোপর্দ করে। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে কয়রা থানার পুলিশ পিকআপ যোগে অভিযুক্ত দয়কে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে গ্রামবাসীদের সাথে একজন ইউপি সদস্যসহ মা-মেয়ে কয়রা থানায় গিয়ে জানতে পারে তারা নাকি পালিয়েছে। পরে বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হলে কয়রা থানা পুলিশ সন্ধ্যায় তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
কয়রা থানার ওসি এ বি এম এস দোহা বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শিশু কন্যাটির মা বাদী হয়ে কয়রা থানায় এজাহার দায়ের করেছে।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় থেকে তারা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মাদক, প্রকাশ্য রামদা, কাতারী নিয়ে ঘোরাফেরা করে মানুষকে ভয় দেখানো ও নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও একাধিক মামলার আসামি সুজন বাবু ও বাবলু ওরফে বাবুল্লার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একাধিকবার বিষয়টি থানার ওসিকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানালেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
পুলিশ সুপার মো: মাহবুব হাসান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।