কখন কোথায় বিয়ে করেছেন, রেজিস্ট্রেশন আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা দেবেন।আমরা হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে কমন জায়গাগুলো নিয়ে কথা বলছি। এর বেশি যদি জানার প্রয়োজন হয় মামুন সাহেব অবশ্যই জবাব দেবেন।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মামুনুল হককে হেনস্তা করার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি (মামুনুল হক) কোথায় গেছেন। সোনারগাঁ, ঢাকা থেকে মাত্র ২০ মিনিটে যাওয়া যায়। সেখানে ঘুরতে গেছেন। নিরাপত্তার জন্য একটি রিসোর্টে উঠেছেন। সেটা কারও কাছে আপত্তিকর হতে পারে। কিন্তু একজনের কাছে এটা আপত্তিকর হলেও সবার কাছে সেটা আপত্তিকর হবে সেটা জরুরি না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আপনি কীভাবে জানলেন যে তিনি অন্যের স্ত্রী। আপনি ছোট একটি শব্দে যোগ করেন। অন্যের সাবেক স্ত্রী। একজন তালাকপ্রাপ্তকে কেউ বিয়ে করতে পারবে না, এটা ইসলামের কোথাও নেই।
ফোনালাপ মামুনুল হকের কিনা, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফোন রেকর্ডের বিষয়টি কী সেটা আমরা বাংলাদেশে সদ্য দেখেছি। ফোনালাপ কার এ বিষয়ে মামুনুল হক আপনাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এই যে ফোনালাপ কাটছাঁট করে, বানিয়ে প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। যখন আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো তখন জিজ্ঞাসা করবেন সত্যতা কতটুকু। এগুলো আইনবিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হেফাজত নারীদের টার্গেট করে হামলা করেছে এটা কোনোভাবেই সত্য নয়। হেফাজত কখনও কোনো নারীকে টার্গেট করতে পারে না। আমরা নারীর অধিকারে বিশ্বাসী, আমরা নারীর মর্যাদায় বিশ্বাসী। মর্যাদার দিক থেকে কোনো নারী পুরুষের চেয়ে কম না।