খুলনা মহানগরীর ৫টি কবরস্থান ও একটি শ্মশান সংস্কার, চিত্রালী মার্কেট পুনর্নির্মাণ এবং বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। ‘স্থানীয় সরকারের আওতাধীন এলাকায় কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারি’ নামের প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দটি এসেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের প্রথম দফায় ১৪ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই এই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, প্রথম ধাপে নগরীর বসুপাড়া কবরস্থানের অফিস ভবন ও মোনাজাত কক্ষ সংস্কার, নিরালা কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সংস্কার, হাজী মালেক কবরস্থানে অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, মহেশ^রপাশা কবরস্থানে অভ্যন্তরীণ সড়ক সংস্কার ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন এবং দেয়ানা উত্তরপাড়া কবরস্থানের অফিস ভবন সংস্কার ও মেরামত করা হবে। এসব কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। পাশাপাশি রূপসা শ্মশানের সড়ক, ড্রেন ও প্রধান ফটক সংস্কারের জন্য ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে চিত্রালী বাজারের নিচতলা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫৪ লাখ ব্যয়ে সংস্কার করা হবে নগরী মিস্ত্রী পাড়া মার্কেট। বাকি টাকার বিভিন্ন সড়ক সংস্কার করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক নাজমুস সাদাত মো. জিল্লুর রহমান জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং ভবিষ্যত মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোরদার করতে ঋণ সহায়তা দিয়েছে বিশ^ব্যাংক। স্থানীয় সরকার কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৩২৯টি পৌরসভা এবং ১০টি সিটি কর্পোরেশন প্রকল্প থেকে দ্বি-বার্ষিক ভিত্তিতে অর্থ পাবে। এই প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ নগর সেবাদান স্থাপনা ও অবকাঠামো, স্থানীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু প্রভাব, দুর্যোগ ও ভবিষ্যতের রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার প্রস্তুতি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হবে। কেসিসি এই প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৭৫ কোটি টাকা পাবে।
প্রকল্পের অর্থে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠনগুলো কমিউনিটি হাত ধোয়ার স্থান এবং টয়লেট স্থাপন করবে এবং পৌরসভার মালিকানাধীন বা পরিচালিত বাজার, কবরস্থান এবং পাবলিক অফিসে স্যানিটাইজেশন উন্নত করবে।
কেসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, প্রকল্পে প্রথম ধাপে কেসিসির জন্য ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে প্রকল্পের সভায় এই বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি মাসেই এসব কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে। মার্চ মাস থেকে কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।