রোজ যে বিছানায় ঘুমান সে বিছানার চাদরটি ঠিক কয়দিন পর পর বদলান? এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন চাদর ময়লা না হলে পাল্টান না। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর পর চাদর না বদলালে হতে পারে অ্যালার্জির সমস্যা, চুলকানি ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়মিত বিছানার চাদর বদলানো আপনার আর পাঁচটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মধ্যেই পরে। প্রতিদিন গোসল করা, ঘর পরিষ্কার করার মতোই নিয়মিত বিছানার চাদর পরিষ্কার করা উচিত। অবশ্য কত দিন পর পর চাদর বদলাবেন তা নির্ভর করবে আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসের উপর।
সপ্তাহে একবার: সাধারণত সপ্তাহে একবার বিছানার চাদর পাল্টে ফেলা উচিত। বিশেষ করে যারা রাতে বেশি ঘামেন, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, যারা নিজেদের সঙ্গী বা পোষ্যের সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমান, তারা এক সপ্তাহ পর পর চাদর বদলে ফেলুন।
দুই সপ্তাহে একবার: যদি রাতে খুব বেশি না ঘামেন, বিছানায় একা ঘুমান এবং অ্যালার্জি না থাকে তবে দুই সপ্তাহে একবার চাদর বদলাতে পারেন। অতিরিক্ত কাচাকাচির মধ্যে না গিয়ে এভাবেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়।মাসে একবার: অ্যালার্জি বা রাতে ঘামার অভ্যাস না থাকলে সবচেয়ে বেশি এক মাস একটি চাদর বিছানায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে এক মাস একটি চাদর ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
কেন চাদর বদলানো জরুরি?
- ব্যবহৃত চাদরে জমা ধূলা-গায়ের ঘাম থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। চাদরে জমতে পারে ব্যাকটেরিয়া, পোকামাকড়ও। যাদের ফুসফুসের সমস্যা আছে বা অ্যালার্জি আছে, একই চাদর বেশিদিন ব্যবহার করলে তাদের অসুস্থতা আরও বাড়তে পারে।
- শরীরের মৃত কোষ, ঘাম, ত্বক থেকে নিঃসৃত তেল চাদরে জমে তা থেকে দুর্গন্ধও তৈরি হতে পারে।
- পরিচ্ছন্ন চাদরে ঘুমালে তার প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও পরে। পরিষ্কার চাদরে ঘুমালে মন ভালো থাকে। ত্বকও ভালো থাকে। অপরিচ্ছন্ন চাদর থেকে ত্বকে ব্রণ, এগজ়িমা জাতীয় সমস্যাও হতে পারে।