করোনার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১ দফা নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য যারা মাস্ক পরবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। যারা মাস্ক পরবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোমবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে র্যাব।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনাগুলো ৫ এপ্রিল থেকে বলবৎ করার লক্ষ্যে যারা মাস্ক পরবে না তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সকলের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মাস্ক ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বিতরণ করবে র্যাব।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাস্ক না পরার অপরাধে ৩০ জনকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছিলেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওইদিন প্রায় এক হাজার মাস্কও বিতরণ করে র্যাব। এছাড়া করোনা মহামারি রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা পরামর্শও দেয় পুলিশের এই এলিট ফোর্স।
এদিকে, শনিবার (৩ এপ্রিল) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘লকডাউনকে পুঁজি করে সারাদেশে কোনো অসাধু চক্র যেন সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে ও অভিযান পরিচালনা করবে র্যাব।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সুযোগ নিয়ে কোনো অসাধু চক্র যেন জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে আমরা মাঠে থাকব। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে এবারও মাঠে থাকব আমরা। কোনো অসাধু ব্যক্তি বা চক্র এ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে যেন কোনো ধরনের অবৈধ কাজ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতার জন্য র্যাব লিফলেট তৈরি করেছে। র্যাবের টহল দল সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট বিতরণ করবে। এছাড়াও সরকার যে নির্দেশনা দেবে, সেই সকল নির্দেশনা আমার পালন করব।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যেও মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমরা জনগণকে সচেতন করে তুলতে কাজ করব। আমরা নিজেরাও কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করব।’
এছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তাদের যেসব পেট্রোল ও টহল টিম থাকবে তারাই লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে জানান এলিট ফোর্সের এই কমান্ডার।