সবেমাত্র ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটল, অথচ অধিনায়ক মুমিনুল হকের শরীরী ভাষায় তেমন রোমাঞ্চ নেই।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে জয় যেন বাংলাদেশ দলকে হাওয়ায় ভাসিয়ে না দেয়, সেটি মনে করিয়ে দিলেন অধিনায়ক।
ইতিহাস গড়া টেস্ট জয়ের উদযাপন শুরুর আগেই তিনি জানালেন, ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট নিয়ে নিজের ভাবনার কথা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘আজ আমি এই জয় ভুলে যেতে চাই। তাকাতে চাই ক্রাইস্টচার্চের পরের টেস্ট ম্যাচে।’
তবে কিউইদের হারিয়ে যে ইতিহাস গড়ায় সংকল্প ছিল মুমিনুলের মনে, সেটি কিছুটা হলেও প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কথায়, ‘আমরা টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করছিলাম না। শেষ দুটি ম্যাচ হেরেছি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, টেস্ট দলের একটা ঐতিহ্য তৈরি করতে জয়টা দরকার ছিল। সেদিক থেকে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ দল পঞ্চম দিন প্রথম সেশনে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ডের ইনিংস বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি। সকালের সেশনে ১০.৪ ওভারের মধ্যে মাত্র ২২ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্যটা মাত্র ৪০ রানের বেশি যেতে দেননি ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
সেই রান তুলতে সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেনকে হারালেও অধিনায়ক মুমিনুল অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে পাড়ি দেন। কাইল জেমিসনের বলে মুশফিকের জয়সূচক কাট শটটি নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছবি হয়ে থাকবে।
মুমিনুল বলছিলেন, ‘এটা একটা দলীয় সাফল্য। সবাই জিততে মুখিয়ে ছিল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং – সবাই এগিয়ে এসেছে।’
তবে প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের পারফরম্যান্সেই ড্র’র পথে এগোতে থাকা ম্যাচটি জিতেছে বাংলাদেশ, ‘আমরা জিতেছি মূলত আমাদের বোলারদের কারণে। প্রথম ও দ্বিতীয়, দুই ইনিংসেই ওরা ছিল এক কথায় দুর্দান্ত। ওরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। ঠিক জায়গায় বল করেছে। নিউজিল্যান্ডকে চাপে রেখেছে।’
সবেমাত্র ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটল, অথচ অধিনায়ক মুমিনুল হকের শরীরী ভাষায় তেমন রোমাঞ্চ নেই।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে জয় যেন বাংলাদেশ দলকে হাওয়ায় ভাসিয়ে না দেয়, সেটি মনে করিয়ে দিলেন অধিনায়ক।
ইতিহাস গড়া টেস্ট জয়ের উদযাপন শুরুর আগেই তিনি জানালেন, ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট নিয়ে নিজের ভাবনার কথা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘আজ আমি এই জয় ভুলে যেতে চাই। তাকাতে চাই ক্রাইস্টচার্চের পরের টেস্ট ম্যাচে।’
তবে কিউইদের হারিয়ে যে ইতিহাস গড়ায় সংকল্প ছিল মুমিনুলের মনে, সেটি কিছুটা হলেও প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কথায়, ‘আমরা টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করছিলাম না। শেষ দুটি ম্যাচ হেরেছি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, টেস্ট দলের একটা ঐতিহ্য তৈরি করতে জয়টা দরকার ছিল। সেদিক থেকে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ দল পঞ্চম দিন প্রথম সেশনে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ডের ইনিংস বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি। সকালের সেশনে ১০.৪ ওভারের মধ্যে মাত্র ২২ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্যটা মাত্র ৪০ রানের বেশি যেতে দেননি ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
সেই রান তুলতে সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেনকে হারালেও অধিনায়ক মুমিনুল অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে পাড়ি দেন। কাইল জেমিসনের বলে মুশফিকের জয়সূচক কাট শটটি নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছবি হয়ে থাকবে।
মুমিনুল বলছিলেন, ‘এটা একটা দলীয় সাফল্য। সবাই জিততে মুখিয়ে ছিল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং – সবাই এগিয়ে এসেছে।’
তবে প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের পারফরম্যান্সেই ড্র’র পথে এগোতে থাকা ম্যাচটি জিতেছে বাংলাদেশ, ‘আমরা জিতেছি মূলত আমাদের বোলারদের কারণে। প্রথম ও দ্বিতীয়, দুই ইনিংসেই ওরা ছিল এক কথায় দুর্দান্ত। ওরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। ঠিক জায়গায় বল করেছে। নিউজিল্যান্ডকে চাপে রেখেছে।’
বোলারদের প্রসঙ্গে ইবাদত হোসেনের কথা আলাদা করেই বললেন টেস্ট অধিনায়ক। ক্যারিয়ার সেরা ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত ইবাদত টেস্ট জয়ের নায়ক।
ম্যাচ শেষে সে কারণেই মুমিনুলের মুখে ইবাদতের প্রশংসা, ‘ইবাদত অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। বলতে গেলে এক কথায় দুর্দান্ত বোলিং করেছে।’
কন্ডিশনের সুবিধাও অপ্রত্যাশিতভাবে পেয়েছেন মুমিনুলরা। বিশেষ করে টেস্টের প্রথম দিন থেকেই মাউন্ট মঙ্গানুইতে ছিল গরম। যে কারণে সবুজ ঘাস বেশ দ্রুতই হয়েছে ধূসর। তাতে সুবিধা পেয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। মুমিনুল যেমন বলেন, ‘সূর্য তাপ দেওয়া শুরু করায় উইকেটও শুষ্ক হয়ে ওঠে। আমরা সেই সুবিধাটা নিতে চেষ্টা করেছি।’
পিএসএন/এমঅাই