এভিয়েশন বা বিমানচালনা হল আকাশযান যেমন—বিমান, হেলিকপ্টার সংক্রান্ত সবকিছু। বৈমানিক প্রকৌশল থেকে পাইলটিং, সবকিছুই এভিয়েশনের অন্তর্গত। বিশ্বের সকল দেশের মধ্যে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য এটি একমাত্র মাধ্যম। তাই সময়ের সঙ্গে এভিয়েশনের গুরুত্ব বাড়ছে এবং অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে।
আমরা সাধারণত এভিয়েশন বলতে বিমানে চড়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া-আসা করাকেই বুঝি। কিন্তু এর বাইরেও এভিয়েশনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
এভিয়েশনে সাধারণত দুইটি সেক্টর রয়েছে। বেসামরিক (বাণিজ্যিক) এবং সামরিক সেক্টর। সামরিক এভিয়েশনের কাজ হল বিমান ব্যবহার করে দেশকে রক্ষার জন্য যুদ্ধ পরিচালনা করা। আর বেসামরিক সেক্টরে বিমানকে ব্যবহার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণ করা হয়।
এই বেসামরিক বা সিভিল এভিয়েশন একটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। বিশ্বের সকল দেশে দ্রুত যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনে বেসামরিক এভিয়েশনের বিকল্প নেই। শুধু দেশের বাহিরেই নয়, দেশের ভেতরেও দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে বিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বেসামরিক এভিয়েশন একটি বড় সেক্টর। এখানে বিভিন্ন পদে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে যারা এভিয়েশনে ক্যারিয়ার গড়তে চায় তারা এভিয়েশন বলতেই শুধু পাইলটিং ও বৈমানিক প্রকৌশলকেই বোঝে। কিন্তু এছাড়াও এই সেক্টরে রয়েছে এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট, গ্রাউন্ড সার্ভিস এক্সিকিউটিভ, সেলস এক্সিকিউটিভ, রিজার্ভেশন অফিসার, ক্যাটারিং এক্সিকিউটিভ, রেভিনিউ অ্যাকাউনটিং ম্যানেজমেন্ট, ট্রাভেল, ট্যুরিজম অ্যান্ড টিকিটিং এবং বিমানবালা বা কেবিন-ক্রু ইত্যাদি।
বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারিভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এভিয়েশনের বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) অনুমোদিত কিনা। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাইলটিং ও বৈমানিক প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়।