বাবার জানাজায় এক আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানোর সংবাদ নজরে আনা হলে হাইকোর্ট বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড (সভ্য নয়) হিসেবে পরিচিত হবো।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
‘বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদলের নেতা’ শিরোনামে রোববার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি জানান আইনজীবী কায়সার কামাল।
তখন আদালত বলেন, ‘আমরা দেখেছি। ’
তখন আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র দিন দিন নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছে।
একপর্যায়ে আদালত বলেন, চাইলে আগের রিটে (যশোরে চিকিৎসাধীন এক যুবদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে) সম্পূরক আবেদন দিতে পারেন। চাইলে নতুন করে আবেদন নিয়েও আসতে পারেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, এ ঘটনা নিয়ে চলতি সপ্তাহে নতুন করে রিট আবেদন করা হবে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। গত শনিবার বিকেল ৩টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে এ জানাজা হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।