নিজস্ব এআই চালু করেছে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি আলিবাবা। তাদের দাবি, ডিপসিকের এআই মডেলের চেয়েও শক্তিশালী এটি, যা চমকে দিতে পারে বিশ্বকে।
বুধবার নিজেদের এআই সিস্টেমের নতুন সংস্করণ ‘কুয়েন ২.৫’ প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি, যা এল ডিপসিকের এআই সিস্টেমের ভাইরাল সাফল্যের পরে এবং দেশটির চন্দ্র নববর্ষের শুরুতে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। এ সময় চীনের বেশিরভাগ মানুষ ছুটিতে থাকেন।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের ভেতরে ও বাইরে শক্তিশালী নতুন এআই সিস্টেম তৈরির উন্মত্ত তাড়াহুড়োরই প্রতিফলন এটি।
“চ্যাটজিপিটি ৪, ডিপসিক-ভি৩ ও মেটার এআই মডেল লামা ৩.১-এর চেয়ে প্রায় সব দিক থেকেই ভালো পারফর্ম করে কুয়েন ২.৫-ম্যাক্স,” নিজেদের অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক ঘোষণায় ওপেনএআই, ডিপসিক ও মেটার সবচেয়ে উন্নত ওপেন-সোর্স এআই মডেলের কথা উল্লেখ করে এমনই বলেছে আলিবাবা’র ক্লাউড ইউনিট।
১০ জানুয়ারি ‘ডিপসিক-ভি৩’ মডেলের মাধ্যমে চালিত ডিপসিকের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট বাজার আসে। এরপর ২০ জানুয়ারিতে স্টার্টআপটির ‘আর১’ এআই মডেল প্রকাশ পায়, যা হতবাক করেছে সিলিকন ভ্যালিকে ও ধস নামিয়েছে প্রযুক্তিখাতের শেয়ারে।
ওপেনএআইয়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম শক্তি ব্যবহার করে একই রকম নির্ভুল উত্তর দিতে পারে চীনা ডিপসিকের এআই মডেল। আর এ কারণে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন এআই কোম্পানির বিশাল ব্যয় পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
এদিকে, ডিপসিক-আর১ মডেল প্রকাশের দুইদিন পরেই নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ এআই মডেলের আপডেটেড ভার্সন প্রকাশ করে টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স। এ এআই মডেল নিয়ে কোম্পানিটির দাবি, এআইএমই-তে মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআইয়ের ‘ও১’ এআই মডেলকেও ছাড়িয়ে যাবে এটি।
‘ও১’ এআই মডেল হচ্ছে এআই নিয়ে ওপেনএআইয়ের একটি বেঞ্চমার্ক পরীক্ষা, যা পরিমাপ করে দেখছে বিভিন্ন এআই মডেল জটিল নির্দেশাবলী কতটা ভালো বোঝে ও তাতে সাড়া দেয়।
গত বছরের জুলাই মাসে চীনা সংবাদমাধ্যম ‘ওয়েভস’-এ সঙ্গে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে ডিপসিক-এর রহস্যময় প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং বলেছিলেন, মূল্য যুদ্ধের বিষয়টি ‘পরোয়া করেনি’ স্টার্টআপটি, বরং ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স’ বা এজিআই তৈরি করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
আলিবাবার মতো বড় বিভিন্ন চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিতে লাখ লাখ কর্মী থাকলেও, ডিপসিক একটি গবেষণা ল্যাবের মতো কাজ করছে, যেখানে মূলত কর্মরত আছেন শীর্ষস্থানীয় চীনা ইউনিভার্সিটির তরুণ স্নাতক ও ডক্টরেট শিক্ষার্থীরা।