রিয়াল মাদ্রিদকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কাজটা করেছিল বার্সেলোনাই, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের দুরত্ব ঘোচানোর কাজটা করে দিয়েছে সেভিয়া। রোববার অ্যাটলেটিকোর কাছ থেকে ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে বার্সার কাজটা সহজ করেছিলেন আর্জেন্টাইন মার্কোস আকুনা।
এই আর্জেন্টাইনের গোলে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি লিওনেল মেসি-ওসুমানে দেম্বেলেরা। তবে অত সহজেও পারেনি তারা। সোমবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে রিয়াল ভায়োদলিদকে ১-০ গোলে হারাতে রীতিমতো ঘাম ঝরেছে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যদের।
আন্তর্জাতিক সূচির বিরতির পর ভায়োদলিদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ক্লাব ফুটবলে ফিরেছে বার্সেলোনা। মাঠের খেলায় বড় দল হিসেবে নিজেদের আলাদা করতে পারলেও, কাজের কাজ গোলের দেখা মিলছিল না। একদম শেষ মিনিটে গিয়ে জয়সূচক গোলটি করেছেন ওসুমানে দেম্বেলে।
অথচ পুরো ম্যাচে প্রায় ৭০ ভাগ সময় বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেই খেলেছে বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের রক্ষণে আক্রমণ করেছে প্রায় ২৫ বার। যার মধ্যে লক্ষ্য বরাবরই ছিল ১০টি শট। তবু ম্যাচের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত মেলেনি গোলের দেখা। পরে ৯০ মিনিটে গিয়ে গোলটি করেন দেম্বেলে।
অবশ্য বার্সেলোনার কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে ভায়োদলিদও। অবনমন অঞ্চলের আশপাশে থাকা দলটি পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমিয়ে তোলে ম্যাচ। কিন্তু সেই ধার বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। উল্টো মেসি-গ্রিজম্যান-দেম্বেলেদের আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয় তাদের।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটের সময় দেম্বেলেকে পেছন থেকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন অস্কার প্লানো। রেফারির এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা হলুদ কার্ড দেখেন অধিনায়ক মাসিপ। ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন, সরাসরি লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত খানিক কঠোরই হয়ে গেছে।
ফলে শেষের সময়টুকু একজন কম নিয়েই খেলেছে ভায়োদলিদ। নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মিনিটে গিয়ে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ে ক্রস বাম দিকে ফাঁকায় পেয়ে যান দেম্বেলে। কাছে পোস্ট দিয়ে নেয়া তার বুলেট গতির শট ঠেকানোর সাধ্য ছিল না কারও। এই গোলের সুবাদেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কাতালান ক্লাবটি।
চলতি লিগে বাজে শুরুর পর ছন্দে ফেরা বার্সেলোনা এই নিয়ে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত রইল। গত ৫ ডিসেম্বরের পর আর লা লিগায় কোনো ম্যাচে হারেনি তারা। এই সময়ে তাদের জয় ১৬টি, ড্র তিনটি। আর এটি ছিল তাদের টানা ষষ্ঠ জয়।
এ জয়ের ফলে এখন ২৯ ম্যাচে ২০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ২০ জয় ও ৬ ড্রতে পাওয়া ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আর বার্সার জয়ে তিন নম্বরে নেমে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট।