বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই বলে একাত্তর সাল ভুলে যাবে। একাত্তর সাল আমরা ভুলতে পারি না। একাত্তর সালে আমাদের একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে। আমি নিজেকে চিনতে পেরেছি একাত্তর সালে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া স্কুল মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এ জনসভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বারবার জেলে গেছি। সারা বাংলাদেশেই একটা ভয়, ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব তৈরি করেছিল হাসিনা। মানুষ চায়নি, জনগণকে বোকা বানিয়ে তিনটা নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় বসেছিল। সে ভেবেছিল কোনো দিন ক্ষমতা থেকে যাবে না। কিন্তু পালাতে হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পরিণতি এমনই হয়।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য আবার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দেশটাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গড়ে তুলব। সকল মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। গত ১৫ বছর আমাদের ছেলেরা ভোট দিতে পারেনি। আমরা ভোট দিতে পারলে সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারব, সেই লোক সংসদে গিয়ে আমাদের জন্য ভালো কাজ করবে, দেশটাকে ভালোভাবে সাজাবে। এটাই আমরা চাচ্ছি।
বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘সবার আগে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও অংশ নেন। বক্তব্য শেষে ২৪ এর অভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের ৫ শহীদের পরিবার এবং দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশি হামলায় নিহত একজনের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেন বিএনপি মহাসচিব।