ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই তালিকায় এখন পর্যন্ত ৬০টি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।তবে এর মধ্যে ৩০টি প্রতিষ্ঠান তাদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তদন্তকারী এই সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ও নজরদারিতে থাকা এসব প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি দেয় না, টাকাও পরিশোধ করে না। তারা প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদেরই আমরা নজরদারিতে রেখেছি।
তিনি বলেন, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সিআইডিও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ভুক্তভোগীরা টাকা দিলেও দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কর্মকর্তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ও সিআইডির অনুসন্ধানে ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। ৬০টির মধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিআইডির নজরদারিতে রয়েছে।
৬০টি প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত গ্রাহকদের কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, কত টাকা হাতিয়েছে এটি হিসাব না করে বলা যাবে না। পরবর্তীতে হিসাব করে জানানো হবে।