প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে করা মামলা দুটির তদন্ত থানা পুলিশ করলেও সিআইডিও অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বুধবার বলেন, তারা মামলা দুটির বিষয়ে নিজ উদ্যোগেই খোঁজ নিচ্ছেন।
ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
“এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ-লেনদেনের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছি,” বলেন হুমায়ুন।
ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি মামলা হয়েছে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে।
৮৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ এনে গত ২ সেপ্টেম্বর ১৭ জনের পক্ষে প্রথম মামলাটি করেন মো. রাসেল এবং ৭৬ লাখ ৪১ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগে ৭ সেপ্টেম্বর ১০ জনের পক্ষে দ্বিতীয় মামলাটি করেন ইসতিয়াক হোসেন টিটু।
দুই মামলাতেই পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা, তার বোন সোনিয়া মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমানসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মেহজাবিন ও মাসুকুর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে ধরা পড়েছেন। তাকে বরখাস্তও করা হয়েছে।
সোহেল রানার সম্পদের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদগুলো যাচাই করা হচ্ছে বলেও জানান সিআইডি কর্মকর্তা হুমায়ুন।
“আমরা মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য পেলেই মামলা করব।”
এদিকে মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা গুলশান থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা প্রত্যেক আসামির তথ্য সংগ্রহ করছেন।
“আমরা কিছু মোবাইল ফোন নাম্বার পেয়েছি, সেগুলোর কল ডিটেইলস রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করছি। পাশাপাশি সিআইডির কাছে মানি লন্ডারিং বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা জানাতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।
এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ যারা করেছেন, তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য নিচ্ছে পুলিশ।
তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, এখনও বলার সময় আসেনি।”