ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরের নাবলুসে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। ওই সময় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সমাধিতে নিয়ে যায় তারা। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানায়। তারা বলেছে, নাবলুসে ইসরায়েলি সেনাদের অন্তত ৩০টি গাড়ি দেখা গেছে। তারা ইহুদিদের সুরক্ষা দেয়।
মুসলিম ও ইহুদি উভয়ই ইউসুফ (আঃ)-কে সম্মান করে থাকে। তার সমাধি ঘিরে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওয়াফা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারীরা রামাল্লাহর পূর্বদিকের গ্রাম বুরকাতে হামলা চালিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর পশ্চিমতীরে বেড়ে যায় ইসরায়েলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচার নির্যাতন। তারা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ও অন্যান্য সম্পদে হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪৫ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে গতকাল বুধবার হামাস জানায়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে নতুন শর্ত আরোপ করেছে। এতে করে আলোচনা আবারও থমকে গেছে। তবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তারা নতুন শর্ত দেননি। হামাসের ওপর দায় চাপিয়ে তিনি বলেছেন, যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষ হয়ে গেছে, হামাস সেগুলো আবারও উত্থাপন করছে।
সূত্র: আলজাজিরা, আনাদোলু