লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারের অন্তত চার সদস্য নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় ওই চার লেবানিজ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।
দেশটির সীমান্তের গ্রাম মেইস আল জাবালে ওই চার নাগরিক নিহত হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মাঝে নিয়মিত গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে মেইস আল জাবাল।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, বিমান হামলার প্রতিশোধে লেবানন সীমান্তের পার্শ্ববর্তী ইসরায়েলি উত্তরাঞ্চলীয় কিরিয়াত শমোনা শহরে অন্তত ১০টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে তাদের যোদ্ধারা।
অক্টোবর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। তবে উভয়পক্ষ সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত রয়েছে।
অক্টোবরে লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ২৫০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহত হয়েছেন আরও ৭৫ জন বেসামরিক। ইসরায়েলের একাধিক সূত্র বলেছে, লেবানন থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি অন্তত এক ডজন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক আহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।