প্রায় একযুগ ধরে ক্রিকেটের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সাল থেকে বিসিবির সভাপতি হয়ে এই দায়িত্ব শুরু হয় তার, যা চলমান এখনো। তবে এর মধ্যেই ক্রিকেটের পাশাপাশি এবার পুরো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবকের পদ পেয়েছেন তিনি। সবশেষ অনুষ্ঠিত হওয়া কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে টানা চতুর্থ বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর গেল পরশু দিন প্রথম বারের মতো মন্ত্রিত্ব পান পাপন। আর এরপর থেকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিসিবি সভাপতি থেকে সরে দাঁড়াতে যাচ্ছেন পাপন। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন নতুন সভাপতি?
বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি। মাশরাফি এখন পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ না খুললেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়া সাকিব এ নিয়ে সম্প্রতি নিজের মত জানান। আবুধাবিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ বাংলা টাইগার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বোর্ড সভাপতি হলে কেমন করবেন দিয়েছেন তার উত্তর।
সাকিব বলেন,
যদি সুযোগ আসে আমি কখনো মিস করব না। আমি বিশ্বাস করি, যখন আমি যাব বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা সভাপতি হব। এটা আমার বিশ্বাস। পারি, না পারি এটা পরের কথা। আমার যদি সেরা হওয়ার চিন্তাই না থাকে তাহলে আমি সেরা কাজটা কীভাবে করব। কাউকে ছোট করে না। যদি আসি, ইন-শা-আল্লাহ অনেক কাজ করতে পারব। এটা আমি অনুভব করি। এখন আসলে সময়ই বলে দেবে। এখন মনে হচ্ছে অনেক কিছুই করতে পারব। তখন দেখা যাচ্ছে আসলেই করতে পারলাম না। এরকমও হতে পারে। কিন্তু ওই বিশ্বাসটা আমার আছে।
এদিকে বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সাবেক প্রধান ও আ হ ম মোস্তাফা কামালকে নিয়ে ব্যাখা দিয়ে সাকিব বলেন,
পাপন ভাই আছেন, তার আগে আমাদের কামাল ভাই ছিলেন। তারা অসাধারণ কাজ করেছেন। তা না হলে ক্রিকেটের কিন্তু এত উন্নতিও হতো না। আজকে আমরা অনেক সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু তাদের অবদান ছিল বলে আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। আপনি বলতে পারেন, আরও বেশি করতে পারতো। সম্ভবত পারতো, সম্ভবত পারতো না। কেবল তাদের অবস্থানে গেলেই আপনি বুঝতে পারবেন, আসলে সম্ভব ছিল কি ছিল না।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু উৎসুক এই ক্রিকেট অনুসারীদের জন্য হতাশার খবর হলো মাশরাফি-সাকিবের কেউই বিসিবি সভাপতি হতে পারছেন না, পাপন বোর্ড সভাপতির পদ ছেড়ে দিলেও না।বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এ দু’জনকে। ২০২৫ সালের অক্টোবরে হবে বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন। ফলে বিসিবিতে আসতে হলে এই দুই তারকার পাড়ি দিতে হবে লম্বা পথ।
এই পদে আসতে হলে প্রথমে কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে প্রবেশ করতে হবে। এরপর পরিচালক পদে নির্বাচিত হতে। পরিচালক হওয়ার পরই আসবে বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ। এদিকে পাপনের মেয়াদ আছে দেড় বছরের বেশি। তিনি যদি মন্ত্রীত্ব এবং বিসিবি প্রধানের কাজ একসঙ্গে সামলান তাহলে পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কি হয়!