ইরান ৬০ ভাগ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরমাণু চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে। তিনি শনিবার ওয়াশিংটনে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদা সুগার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র প্রায় তিন বছর ধরে পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করে গেলেও সে বিষয়টি চেপে গিয়ে বাইডেন বলেন, ইরান শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিক পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা এ বিষয়টিকে সমর্থন করি না। ৬০ ভাগ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কারো লাভ হবে বলে মনে হয় না। তবে ইরান যে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে তাতে আমরা খুশি।
বাইডেন দাবি করেন, ইরান ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করায় ভিয়েনা বৈঠকের ক্ষতি হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করার সময় এখনো আসেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি গত শুক্রবার বলেন, ইরান ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার যে ‘উসকানিমূলক’ পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে আমেরিকা।
তিনি বলেন, ইরান যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আলোচনার ব্যাপারে দেশটির সদিচ্ছার ঘাটতি ধরা পড়েছে। তিনি ভিয়েনা আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ইউরোপীয় দেশগুলোকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
গত রোববার সকালে ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাশকতামূলক হামলা চালানো হয়েছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, এর ফলে এই স্থাপনার কয়েক হাজার সেন্ট্রিফিউজের ক্ষতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও শুক্রবার থেকে ইরান ওই নাতাঞ্জ স্থাপনায়ই শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে ইরান।